মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং - এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
মোবাইল দিয়ে অ্যফিলিয়েট মার্কেটিং করা বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।
চলুন আজ আমি আপনার সাথে শেয়ার করি মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?
কিভাবে সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আর্থিকভাবে আমাদের জীবনের উন্নতি সাধন
করতে পারি।
বর্তমান ডিজিটাল যুগে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় নিজেকে
মানিয়ে নিতে পারলে হাতের মুঠোয় ছোট্ট মোবাইলের মাধ্যমে অনেক উপায়ে ইনকাম করা
সম্ভব, তার মধ্যে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অতি সহজে আমরা
ইনকাম করতে পারি।
পেজ সূচিপত্র: এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে আমরা সহজ ভাবে বলতে পারি মধ্যস্থকারী অর্থাৎ অন্য এক
প্রতিষ্ঠানের পণ্য নির্দিষ্ট পার্সেন্টের বিনিময়ে আরেকজনের কাছে অনলাইনের
সহায়তায় বিক্রি করে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট অর্থ হলো অধিভুক্ত বা নির্দিষ্ট কোন কোম্পানির অংশীদার হওয়া।
অন্যভাবে বলতে পারি, অনলাইনের সহায়তায় একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবা ক্রয় করতে
আগ্রহী এমন গ্রহীতার নিকট বিক্রি করে পণ্যটির মূল মালিকের নিকট থেকে নির্দিষ্ট
পারসেন্ট গ্রহণ করার প্রসেসিংকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। একটি কোম্পানির
হয়ে একটি নির্দিষ্ট পন্য তৃতীয় পক্ষ হয়ে প্রমোট বা বিক্রি করে দিয়ে কমিশন নেয়ার
নাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
ধরুন আপনি একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন কিন্ত কি ভাবে বিক্রি করবেন কি ভাবে
কাস্টোমাইজ করলে আপনার প্রোডাক্টটির তাড়াতাড়ি বিক্রি বাড়বে খরচ কমবে তা আপনি
জানেন না, কিন্তু সে ক্ষেত্রে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আপনার জীবনের গতি
পাল্টে দিতে পারে, তাকে নির্দিষ্ট পারসেন্ট দিলেই আপনার প্রোডাক্ট বিক্রি করে
দিবে নামি দামি ওয়েবসাইড এর সহায়তায়।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো তা জানার পূর্বে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম
অনুসরণ করতে হয়, যে বিষয় গুলো আপনাকে জানার পরেই সামনে আগাতে হবে, চলুন
পর্যায়ক্রমে সেগুলো জানা যাক।সর্বপ্রথম একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা নিশ নির্বাচন
করে নিতে হবে, যে নিশটি নিয়ে মার্কেটিং করলে আপনার সহজে অনেক বেশি ভিজিটর
পাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে, তারপর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জনপ্রিয় ওয়েব সাইট গুলোর
যেমনঃ ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, ইমেইল মার্কেটিং, ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটিং এর সহায়তা
নিতে হবে।
জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর মধ্যে আপনার সুবিধামত যেটা আপনি ব্যবহারের সুবিধা বোধ
করবেন সেই প্ল্যাটফর্মটি বেছে নিতে হবে। এই সকল জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে
যখন উক্ত নিশটির ভিজিটর আসবে ওই ভিজিটর গুলোর সামনে নিশটির বিস্তারিত সঠিক
তথ্যবহুল সুযোগ-সুবিধা আকর্ষণীয় ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যেন ভিজিটর গুলো রেগুলার
কাস্টমারে পরিণত হয়।
- নিশ নির্বাচন
- ওয়েব সাইড সিলেক্ট
- অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত
- নতুন ট্রাফিক বাড়ান
নিশ নির্বাচন
একটি অনলাইন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের অডিয়েন্স কম বেশি, বিক্রি, সফলতা অনেক কিছু
নির্ভর করে নিশ নির্বাচনের উপর ভিত্তি করে, এমন একটি নিশ নির্বাচন করতে হবে যেটা
অডিয়েন্স খুঁজলে সহজেই সামনে আসে আকর্ষণীয় ও প্রতিযোগী মূলক হবে। আপনি চাইলে
নিজেও নির্বাচন করতে পারেন অথবা এসইও স্পেশালিস্ট দ্বারা নির্বাচন করে নিতে
পারেন।
নিশ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হবে তা হলো
সেবা বা পণ্যের কোয়ালিটি অনুযায়ী যে অডিয়েন্স টার্গেট করছেন সে অডিয়েন্সের
বয়স, পরিবেশ, আর্থ ও সামাজিক অবস্থা, মূল্যবোধ বিবেচনায় রাখতে হবে।
ওয়েব সাইড সিলেক্ট
অনেক রকমের ওয়েবসাইট রয়েছে যেমন ব্লগ, ইউটিউব চ্যানেল, ইমেইল মার্কেটি,
ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটিং এগুলোর মধ্যে থেকে আপনার কাছে যে ওয়েবসাইট টি সুবিধা জনক
মনে হবে এবং আপনি ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ মনে করবেন সেটা নির্বাচন করে নিতে হবে
আগে এবং সে ওয়েবসাইটটিতে নির্দিষ্ট প্রোডাক্ট এর জন্য আকর্ষণীয় ও সঠিক তথ্য
বিশিষ্ট ব্লগ পোস্ট, ভিডিও রিল, শর্ট ভিডিও এর মাধ্যমে কাস্টমারদের প্রোডাক্ট এর
অ্যাডভান্টেজ বা সুবিধা তুলে ধরতে হবে।
চাইলে আপনি একটি অ্যাকাউন্ট ইউজ করে সন্তুষ্ট না হলে প্রত্যেকটাতেই অ্যাকাউন্ট
খুলতে পারেন, এটা আপনার মানসিকতার উপর ডিপেন্ড করবে। তবে দেখা যাচ্ছে আপনি ঠিকই
অ্যাকাউন্ট খুললেন প্রত্যেকটাতে, কিন্তু প্রতিটা অ্যাকাউন্ট নিয়মিত মেইনটেনেন্স
করতে পারছেন না সেই ক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ হবে একটি একাউন্টকেই টার্গেট করে
ভালোভাবে রেগুলার ওইটাতেই ফোকাস করেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত
বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেট আছে যেমন amazon.com, alibaba.com, ghorerbazar.com
এই ধরনের মার্কেট গুলোতে অ্যাড হয়ে প্রতি বছর আপনার কাঙ্খিত প্রোডাক্ট বিক্রি
করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
এমন অনেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান আছে যারা amazon.com, alibaba.com,
ghorerbazar.com এই সকল অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদান করে প্রতিবছর তাদের
কাঙ্খিত ইনকাম করে আসছে, এতে করে তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য যেমন এক্সট্রা
ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে না ঠিক তেমনি এডভার্টাইজমেন্ট কস্টিং তুলনামূলক কম হচ্ছে।
নতুন ট্রাফিক বাড়ান
বাজার গবেষণার মাধ্যমে নিত্যনতুন কাস্টমার বা ট্রাফিক কি চাচ্ছে সে বিষয়গুলো
চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে নতুন সংযোজন ও বিয়োজন এর মাধ্যমে নতুন ট্রাফিক বাড়ানোর
যাবতীয় কার্যাবলী সম্পাদন করুন এতে করে নতুন ট্রাফিক বাড়বে এবং ট্রাফিক নিয়মিত
কাস্টমারে পরিণত হবে।
কাস্টমার বাড়ানোর পূর্বসত্য হলো ট্রাফিক অর্থাৎ আপনি কাস্টমার তখনই পাবেন যখন
আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসবে এর জন্য কি করলে নিত্যনতুন ট্রাফিক আপনার
ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে আসবে সেগুলা নোট ডাউন করতে হবে এবং আপনার প্রতিযোগী
ওয়েবসাইট গুলোতে তারা কি সংযোজন ও বিয়োজন করছে সেটা অবজারভেশনে রাখতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর
প্রকারভেদ সম্পর্কে জ্ঞান রাখতে হবে, এতে করে স্পেসিফিক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
করার সময় আপনার এক্সট্রা কোন ঝামেলা পোহাতে হবে না তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
এর প্রকারভেদ জানা অনেক জরুরী।
- প্রোডাক্টের সাথে সংযুক্ত নয়
- প্রোডাক্ট এর সাথে সম্পর্কিত
- প্রোডাক্ট এর সাথে জড়িত
প্রোডাক্ট এর সাথে সংযুক্ত নয়
সংযুক্ত নয় এমন অ্যাফিলিয়েটরা মূলত নির্দিষ্ট কোন পণ্যের সাথে জড়িত থাকে না,
অর্থাৎ এই অ্যাফিলিয়েটরা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের
সঙ্গে স্থায়ীভাবে সংযুক্ত থাকে না একটা নির্দিষ্ট সময় বা একটা নির্দিষ্ট পণ্যের
জন্য শুধুমাত্র কাজ করে থাকে এবং উক্ত কাজ সম্পাদন হয়ে গেলে এদের চুক্তি শেষ
হয়ে যায়।
বাণিজ্যিক প্রডাক্ট যে সকল পণ্য সেগুলো বিক্রয় করার জন্য পণ্যের কাজ করে থাকে
নিজস্বভাবে কোন ব্লগ থাকে না, এরা অন্যের ব্লগে বা অন্যের একাউন্টে তাদের হয়ে
কাজ করে দেয় এবং কাজ শেষে উক্ত ব্লগের এক্সেস তাদের কাছে আর থাকে না।
প্রোডাক্ট এর সাথে সম্পর্কিত
এই ধরনের অ্যাফিলিয়েট একটি নির্দিষ্ট পণ্যের বিক্রি করার কাজে নিয়োজিত থাকে
এদের নিজস্ব পণ্য বিক্রি করার জন্য পার্সোনাল ভাবে ওয়েবসাইট পরিচালিত করে থাকে,
উক্ত ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট পণ্যটির গুণাগুণ ব্যাপারে বিভিন্ন রিলস শর্ট ভিডিও
ব্যবহারবিধি ও সময় ব্যাপারে যাবতীয় নিয়ম তুলে ধরা থাকে।
যাতে করে ক্রেতা পণ্য ও সেবা ব্যাপারে কোন প্রকার বিড়ম্বনায় না পড়ে, যদিও পড়ে
তাহলে তার উক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এই ওয়েবসাইটে মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে
পরামর্শ নিতে পারে এমন কি যাবতীয় ব্যবহার বিধী নিয়ম ব্যপারে সহযোগীতা করে ।
প্রোডাক্ট এর সাথে জড়িত
প্রোডাক্ট এর সাথে জড়িত অ্যাফিলিয়েটরা মূলত একটি নির্দিষ্ট পণ্য বা সেবার সাথে
ওতপ্রোতভাবে জড়িত এমনটা বোঝায়, তারা পণ্যটি সম্বন্ধে যথেষ্ট জ্ঞান রাখে এবং
ব্যবহার অভিজ্ঞতা আছে বলে পন্যের রিভিউ পর্যন্ত দিয়ে থাকে, প্রোডাক্টটির বাজারে
সূচনা লগ্ন থেকে শুরু করে পূর্ণতা পর্যন্ত পাশে থাকে।
পণ্যটি উৎপাদন থেকে চূড়ান্ত ভোক্তার নিকট পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত প্রতিটি স্তরে এই
অ্যাফিলিয়েটদের বিচরণ রয়েছে, উৎপাদনের ফর্মুলা থেকে শুরু করে ব্যবহার পর্যন্ত,
চূড়ান্ত ভোক্তা কি পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করবে সেটা সম্বন্ধেও জ্ঞান রাখে,
ব্যবহারের পরে কি সুবিধা পেলো সে ফলাফল প্রকাশ করে থাকে যাতে করে পরবর্তী
কাস্টমাররা উক্ত পণ্যটি ক্রয় করতে নিরাপত্তা বোধ করে।
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সর্বপ্রথম দরকার একটা ভালো
নেটওয়ার্ক বেজ অ্যান্ড্রয়েড ফোন, এরপর সোশ্যাল মিডিয়া যেমন ফেসবুক, টিক টক,
ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব চ্যানেল এর একাউন্ট খুলতে হবে, এরপর উক্ত সোশ্যাল মিডিয়া
গুলোর সম্বন্ধে জেনারেল নলেজ অর্জন করতে হবে।
নিজের সুবিধা অনুযায়ী একটি প্লাটফর্ম বেছে নিতে হবে যে প্লাটফর্মে কাজ করতে আপনি
স্বাচ্ছন্দবোধ করবেন পাশাপাশি প্লাটফর্মটির ইউজার সংখ্যা বিবেচনাই রাখতে হবে।
চলুন মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে যা যা দরকার তা নিচে বিস্তারিত
আলোচনা করা যাক।
- অ্যান্ড্রয়েড ফোন
- ফেসবুক
- টিক টক
- ইনস্টাগ্রাম
- ইউটিউব চ্যানেল
- স্মার্ট ইন্টারনেট সংযোগ
অ্যান্ড্রয়েড ফোন
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ফোন নির্বাচন করার ক্ষেত্রে একটা
বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যে ফোনটি দিয়ে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন
ফোনটির নেটওয়ার্ক ব্যাকআপ অবশ্যই মানসম্পন্ন হতে হবে পাশাপাশি ব্যাটারি ব্যাকআপ
দিতে পারে এমন ফোন নির্বাচন করতে হবে।
পারো তো পক্ষে যদি আপনি ফোনের নেটওয়ার্ক সফটওয়্যার সম্বন্ধে জ্ঞান থাকে নিজে
কিনবেন অথবা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তির সহযোগিতা নিতে পারেন, এমন কি এ ব্যপারে ফোন
দিয়ে অনলাইনের সহায়তা নিলে বেস্ট হয়।
ফেসবুক
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা অন্যান্য ওয়েবসাইট
ব্যবহারকারীর তুলনায় অনেক বেশি ২০২৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন প্রায়
২ বিলিয়ন ফেসবুক ইউজার সক্রিয় থাকে, তাই আপনি যদি ফেসবুকের মাধ্যমে কোন
নির্দিষ্ট পণ্য বা প্রোডাক্ট এর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে ফেসবুক
প্ল্যাটফর্ম আপনার জন্য বেস্ট আইডিয়া হবে।
ফেসবুকের মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট প্রোডাক্টের গুণাগুণ ব্যাপারে শর্ট ভিডিও এর
মাধ্যমে অথবা ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যমে কাস্টমার অ্যাটেনশন বাড়াতে পারেন, তাই
মোবাইলে ফেসবুকের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাইলে ফেসবুক সম্পর্কে
বিস্তারিত জ্ঞান আপনার থাকতে হবে।
টিকটক
টিকটক এর পথযাত্রার সময়টা হয়তো অন্যান্য ওয়েবসাইটের তুলনায় কম কিন্তু খুব
অল্প সময়ে মানুষের জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তাই আপনি চাইলে টিকটক একাউন্ট খুলে এ
প্লাটফর্মের মাধ্যমেও নির্দিষ্ট পণ্যের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন।
টিকটকে একাউন্ট খুলতে হবে এবং পরিচালনা করার জন্য প্রাথমিক জ্ঞান আপনাকে অর্জন
করতে হবে তারপর আপনি প্রোডাক্ট সম্বন্ধে মার্কেটিং করতে পারবেন, অন্যথায় নয়।
তবে আপনি যে প্রোডাক্ট নিয়ে মার্কেটিং করবেন তা অবশ্যই দেশবিরোধী বা অবৈধ পণ্য
হওয়া যাবে না।
ইনস্টাগ্রাম
সারা বিশ্বে প্রতিমাসে ২০২৪ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১.৮ বিলিয়ন ব্যবহার করে
তার মধ্যে ২৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সের প্রায় ৬২% ব্যবহার করে, এ বিষয়টা লক্ষ্য করলে
আমরা আইডিয়া করতে পারি সারা বিশ্বে ইনস্টাগ্রামে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও তুলনামূলক
কম নাই তাই আপনি চাইলে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে
পারেন।
এ ক্ষেত্রে অবশ্যয় প্রথমত আপনাকে ইনস্টাগ্রাম সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয় জেনে নিতে
হবে,যাতে করে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করতে গিয়ে আপনি কোন প্রকার সমস্যার সম্মুক্ষিন
না হতে হয়, যদি আপনি একা একা না পারেন তাহলে সেক্ষেত্রে আপনি ইউটিবের বিভিন্ন
ভিডিও দেখে সাহায্য নিতে পারেন।
ইউটিউব চ্যানেল
২০১৪ সালের উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী সারা বিশ্বে প্রতিমাসে ২.৭ বিলিয়ন
ব্যবহারকারী প্রতি মাসে সক্রিয় কে আপনি চিন্তা করে দেখছেন কি পরিমান ব্যবহারকারী
এখানে সক্রিয় আছে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটের যদি সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে পারে
তাহলে সফলতার জন্য এই একটা প্লাটফর্ম যথেষ্ট।
তার জন্য যেমন দরকার শক্ত মনোবল আর প্রবল ইচ্ছা শক্তি, ঠিক তেমনি যথেস্ট
অধ্যবসায়। ইউটিউব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে দরকার হয় অনেক অনলাইন ক্লাস আছে
সে গুলোর হেল্প নিতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয় জানা প্রয়োজন
মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বিশেষ কিছু বিষয় অনুসরণ করতে হয়,
বিষয়গুলো একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটটার এর জন্য জানা অতীব জরুরী, এ বিষয়গুলো না
জেনে সরাসরি কাজ করতে গেলে নানান ঝামেলায় পড়তে পারে, তাতে করে বিগিনার
মার্কেটার মানসিকভাবে ভেঙে পড়তে পারে বা কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।
চলুন স্টেপ বাই স্টেপ আলোচনা করি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন বিষয় জানা
প্রয়োজন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকরে সফলতার জন্য এ বিষয়গুলো আপনাকে সামনে এগিয়ে
দিতে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখবে।
- নিশ নির্ধারণ
- প্রোডাক্ট সিলেক্ট
- কিওয়ার্ড নির্ধারণ
- ওয়েবসাইট তৈরি
- অডিয়েন্স বুঝা
- অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন
- ওয়েবসাইট এসিও করুন
- ট্রাফিক আনুন
- আকর্ষণীয় ও বিশ্বস্ত বিজ্ঞাপন তৈরি
নিশ নির্ধারণ
এমন একটি নিশ আপনি নির্ধারণ করবেন গবেষণার মাধ্যমে যে নিশ নিয়ে মার্কেটিং করলে
আপনার মনে হবে আপনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে কাস্টমার অ্যাটেনশন পাবেন এবং আপনার
ওয়েবসাইটটি খুব দ্রুত গ্রোথ করবে।
আপনি যে প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে চাতছেন তার সিমিলার প্রোডাক্ট এর নিশ গুলো নিয়ে
গবেষনা করে দেখুন অন্যান্য অয়েবসাইট গুলো কি ধরনের নিশ ব্যবহার করেছে, তাদের
ভিজিটর অবশ্যয় বিবেচনায় রাখতে হবে।
প্রোডাক্ট সিলেক্ট
প্রোডাক্ট সিলেক্ট করার সময় লক্ষনীয় বিষয় হল সম্ভাবনা ময় প্রোডাক্ট সিলেক্ট
করতে হবে তার জন্য অবশ্যই আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে কয়েকটি বিষয় তাহলো
প্রোডাক্টটি নির্দিষ্ট কোন এলাকার জন্য এবং কোন মৌসুমের জন্য আপনি সিলেক্ট করছেন
কিনা এবং নির্দিষ্ট বয়স অনুযায়ী সিলেক্ট করতে চাতছেন কি না।
এমন প্রডাক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে যে প্রডাক্ট এর আগ্রহী সকল বয়সের মানুষ হবে,
পাশাপাশি উক্ত প্রডাক্টটি সারা বছর চাহিদা থাকে এমন হলে ভালো হয় প্রোডাক্ট
সিলেক্ট এর ক্ষেত্রে এ বিষয় গুলো অবশ্যয় লক্ষনীয়।
কিওয়ার্ড নির্ধারণ
আপনার ওয়েবসাইটটি কতটা সফল হবে তার অনেকখানি নির্ভর করে কিওয়ার্ড নির্ধারণের
উপরে কেননা আপনার কাঙ্খিত কাস্টমার যত সহজ ভাষায় সার্চ বাটনের ক্লিক করে আপনার
ওয়েবসাইট টা পাবে আপনার সাইডটি তাড়াতড়ি রেংক করতে সহযোগিতা করবে।
কীওয়াড যখন নির্বাচন করতে যাবেন চেস্টা করবেন কিওয়ার্ডটি যত স্পেসিফিক কুয়েরিতে
নিয়ে যাওয়া যাই তত ভালো, তাতে করে গুগোলে র্যাংক করা অনেক সহজ হবে, এতে করে
কাঙ্খিত কাস্টমার বা ট্রাফিক যা লিখে সার্চ দিবে স্পেসিফিক ভাবে প্রথম পেজে
আপনারটা শো করবে।
ওয়েবসাইট তৈরি
আধুনিকতার ছোঁয়ায় ডিজিটাল এই যুগে প্রতিটা ক্ষেত্র অনলাইন প্রাসঙ্গিক হয়ে
উঠেছে সকল প্রকার ব্যবসায় বাণিজ্য অনলাইন ভিত্তিক চলছে দিনকে দিন অফলাইন
কেনাকাটার থেকে অনলাইন কেনাকাটার জনপ্রিয়তা বেড়ে চলেছে আর মোবাইল দিয়ে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অনলাইনে ব্যবসায় বাণিজ্য করার ক্ষেত্রে একটি মানসম্পন্ন
নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইট তৈরি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
ওয়েবসাইটটি তৈরি করতে কি কি প্রয়োজন হয় যেমন ইমেজ আর্থিক বাজেটের একটা ব্যাপার
থাকে এগুলো ব্যাপারে সঠিক তথ্য আগে থেকেই নিয়ে সেই অনুযায়ী বাজেট করতে হবে
আপনাকে আপনি চাইলে যদি মনে করেন ডেভলপারদের মাধ্যমেও ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে
পারেন।
অডিয়েন্স বুঝা
ব্যবসার প্রকৃতি অনুযায়ী প্রোডাক্ট অনুযায়ী অডিয়েন্স বুঝে নির্ধারণ করতে হবে
সেটা বয়স ভিত্তিক পুরুষ মহিলা ভিত্তিক মৌসম ভিত্তিক হতে পারে। সারাদেশে
ইন্টারনেট বা অনলাইন জগতে বয়স ভিত্তিতে দেখতে গেলে ২৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সের
ইউজারের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি।
প্রতিটা মানুষের বয়সের অনুপাতে পছন্দ রুচির পার্থক্য দেখা যায় তাই যেহেতু আপনি
অনলাইন প্লাটফর্মে কাজ করছেন তাই নির্দিষ্ট এই বয়সের ট্রাফিক রা কি পছন্দ করে
সেই অনুযায়ী অডিয়েন্স বুঝে পন্য সিলেকশন করতে হবে।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দিন
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া বলতে এখানে বোঝানো হয়েছে ফাইবার আপওয়াক এর
মত প্লাটফর্ম গুলোতে একাউন্ট খোলা, আপনার কাংখিত ক্রেতা অনুসন্ধান করা, নির্দিষ্ট
পার্সেন্ট এর বিনিময়ে কাস্টমারের সাথে বিক্রয় সম্পন্য করা।
প্রথমে একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে অনুসন্ধান করুন, অনুসন্ধানের পর
অ্যাপ্লিকেশন করুন অ্যাপ্লিকেশন করার পরে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পাওয়ার অপেক্ষা
আপনি ওই কোম্পানির হয়ে অন্য বা সেবা বিক্রি করতে পারবে।
ওয়েবসাইট SEO করুন
ওয়েবসাইটটি গুগলে র্যংক করানোর জন্য সুন্দরভাবে ওয়েবসাইটটি এসইও করার দরকার
হয়,যদি আপনি পারেন তো ভালো দরকার হলে এসইও স্পেশালিস্ট দ্বারা এসিও করে নিতে
হবে। ওয়েবসাইট এসইও করার জন্য কিছু সিস্টেম আছে সে অনুযায়ী আপনাকে এসিও করতে
হবে।
ওয়েবসাইট এসইও তিন ভাবে করতে হয় অন পেজ এসিও, অফ পেজ এসিও, টেকনিক্যাল এসিও এই
তিনটি পদ্ধতিতে ওয়েবসাইট এসইও করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের রেংক বাড়ানোর
ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ট্রাফিক আনুন
ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার জন্য প্রয়োজনীয় সিস্টেম অনুযায়ী প্রসেসিং করতে হবে
যেন ট্রাফিক আপনার ওয়েবসাইটটির প্রতি আকর্ষিত হয় এবং স্থায়ী কাস্টমারে পরিণত
হয়।
অর্গানিক সার্চ, সোশ্যাল মিডিয়া, বিজ্ঞাপন পেইড মূলত এই তিনটি প্রক্রিয়ার
মাধ্যমে ট্রাফিক আনার প্রসেসিং কমপ্লিট করা যায়, এছাড়াও ট্রাফিক ফ্রেন্ডলি
ডিজাইনের মাধ্যমে ট্রাফিক আনার ব্যবস্থা করা যায়।
আকর্ষণীয় ও বিশ্বস্ত বিজ্ঞাপন তৈরি
আমরা সাধারণত বিজ্ঞাপন মানেই আকর্ষণীয় ভাব বুজি কিন্তু বিজ্ঞাপন তৈরি করার
ক্ষেত্রে একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে সেটা যেন আকর্ষণীয় হয় পাশাপাশি
উক্তপণ্যের তথ্য সম্পর্কিত বিশ্বস্ত তথ্যবহুল হয় খেয়াল রাখতে হবে যেন অপ্রাসংগিক
কিছু না হয়।
বিজ্ঞাপন তৈরি করার সময় কিছু বিষয় লক্ষ্য করবেন দ্রব্যটি সম্পর্কে শর্ট মেসেজ
দিন, সত্যতা যাচাই করার প্রসেসিং তুলে ধরুণ, গবেষণ করে যে ফলাফল পেয়েছেন তা
কাস্টমারদের সামনে তুলে ধরুন এতে করে উক্ত প্রোডাক্টের প্রতি কাস্টমারদের আস্থা
বাড়বে।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা
প্রতিযোগীতার এই যুগে যে কোন সাইডে সুবিধা পাওয়া অনেক কঠিন বেপার,সেখানে কোন
ঝামিলা বিহীন ইনকাম করার একটি সাইড অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, এখানে না আছে কাজ
করার জন্য অধীনতা, আপনি চাইলেই কাজ চালিয়ে যেতে পারেন আবার না চাইলে বন্ধ করে
দিতে পারেন।
কারো কাছে দায়বদ্ধতা নেই, সময় ব্যাপারে কোনো নির্দিষ্ট সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই
আপনার সময় মত আপনি কাজ চালিয়ে যেতে পারেন চলুন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংএর
সুবিধাগুলো আলোচনা করা যাক।
- ঝুঁকি নাই
- ব্যক্তি স্বাধীনতা
- পণ্য তৈরি ঝামেলা নেই
ঝুঁকি নাই
ঝুঁকি নেই বলতে পণ্য উৎপাদন, পরিবহন, মেয়াদ, পচনশীল এই ধরনের বিভিন্ন ঝুঁকির
সম্ভাবনা পোহাতে হয় না। এখানে উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম ঝামেলা থাকে পরিবহন
এর রিস্ক থাকে পণ্যের মেয়াদ, পচনশীল পণ্যের ক্ষেত্রে সময়ের দায়বাধ্যতা এই সকল
বিষয় এর বাধ্যতামূলক থাকেনা।
যে কাজ করাই আপনি নিরাপদ মনে করছেন সে কাজ আপনি ইচ্ছা করলে করতে পারেন যেটা আপনার
আপনার কাছে পোষানোর মনে হচ্ছে না সেটা করলেন না।
ব্যক্তি স্বাধীনতা
এফিলেট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এখানে নিজের ইচ্ছাকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার
দেওয়া হয়। আপনি চাইলে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন আবার ইচ্ছা করলে কাজ বন্ধ করে
দিতে পারেন, সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করবে।
ব্যক্তির স্বাধীনতা অনুযায়ী অর্থাৎ আপনি কোন ধরনের প্রোডাক্ট এর প্রচারণা করতে
চান বা ইচ্ছা পোষণ করছেন তা আপনার উপরে নির্ভর করবে আপনার আর্থিক অবস্থার উপর
ভিত্তি করে আপনি স্বল্প পুঁজির মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ শুরু করতে
পারেন এটাই ব্যক্তির স্বাধীনতা।
পণ্য তৈরি ঝামেলা নেই
পণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বহু ঝামেলা পোহাতে হয় মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে উৎপাদন
সংক্রান্ত যে ঝামেলা তা পোহানোর কোন সম্ভাবনা নেই। আপনাকে প্রোডাক্টের উৎপাদন
সম্পর্কিত ঝামেলা সহ্য না করে শুধুমাত্র পণ্যের প্রচারণার দিকে ফোকাস দিতে পারেন
এতে করে না থাকে ঝামেলা না এক্সট্রা মানসিক চাপ।
আপনার স্বাধীনতা অনুযায়ী আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং চালিয়ে যেতে পারেন,
উপরিউক্তের সুবিধা গুলো আপনি অন্য কোন প্লাটফর্মে এইভাবে সুবিধা ভোগ করতে পারবেন
না।
FAQs - এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো
1. প্রশ্নঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা উপার্জন করা যায়?
উত্তর: যে মার্কেটিং করবে তার স্কিল আর কাজের কোয়ালিটি অনুযায়ী সেটা
নির্ভর করবে।
2. প্রশ্নঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কতটুকু পড়াশোনা জানতে হয়?
উত্তরঃ পড়াশোনার লেভেলটা মূলত বিষয় নয় এখানে বাংলা ও ইংরেজি ভালো
বোঝাটা জরুরী।
3. প্রশ্নঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত পারসেন্ট কমিশন দেওয়া হয়?
উত্তরঃ কমিশন পার্সেন্ট নির্ভর করে উভয় পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে তবে ৫%
থেকে ৭০% পর্যন্ত হয়ে থাকে, সচরাচর ১৫% থেকে ২০%পার্সেন্ট হয়ে থাকে।
4. প্রশ্নঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।
5.প্রশ্নঃ শুধু মাত্র ইউটিউব ভিডিও দেখে শিখে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করা সম্ভব?
উত্তরঃ হ্যাঁ, শুধু ইউটিউব ভিডিও দেখে শিখে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং করা সম্ভব।
লেখক এর শেষ কথা
সবশেষে, আমি আপনাকে আমার মত করে বলতে পারি, আপনি যদি একজন শিক্ষিত বেকার হয়ে থাকেন অথবা আপনি একজন ছাত্র মানুষ পড়াশোনা লেভেলে আছেন, তাহলে মোবাইল দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং এ পরামর্শটা আপনার জন্য এর মাধ্যমে যেমন আপনি একটি স্কিল অর্জন করতে পারবেন, এর পাশাপাশি আপনার জীবন যাপনে আর্থিক সংকট দূর করতে পারবেন এমন কি পড়াশোনার খরচ এখান থেকে আয় করতে পারবেন।

Present_Tech_BD এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url