ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক জানতে চাচ্ছেন? অনেকেই জানে না ব্রয়লার
মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক রয়েছে। সর্বপ্রথম ব্রিটিশ শাসন আমলে এই উপমহাদেশে
সরকারিভাবে ব্রয়লার মুরগির ফার্ম চালু করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৫৮ সালে পাকিস্তান
শাসন আমলে বর্তমান বাংলাদেশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের বাণিজ্যিকভাবে ও দেশীয়
ভাবে ব্রয়লার মুরগির লালন পালন শুরু করা হয়।
ব্রয়লার মুরগি লালন পালনের সূত্র ধরে এই মুরগির ডিম খাওয়ার প্রচলন খুব ভালোভাবে
শুরু হয়েছে। অনেকেই জানে না ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক রয়েছে, আজ
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা যাক।
পেজ সূচিপত্র: ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক তা সম্পর্কে
বিস্তারিত জানুন
বয়লার মুরগির বাচ্চার দাম কত
বয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বর্তমানে প্রায় ৫০ টাকা প্রতি পিস। তবে বাজার চাহিদা ও
যোগানের উপর ভিত্তি করে দাম কম বেশি হয়ে থাকে। মুরগির খাবারের দামের উপর ভিত্তি
করে বয়লার মুরগির বাচ্চার দাম কত তা নির্ভর করে অনেক সময়। এমন অনেক খাদ্য ও
মেডিসিন রয়েছে যেগুলো আমদানি করতে হয় তাই ডলারের মূল্য কম বেশি হলেও মুরগীর
বাচ্চার দামের উপরে অনেক সময় প্রভাব পড়ে।
অনেক সময় বাচ্চার গুনোগত মানের উপর ভিত্তি করেও বয়লার মুরগির বাচ্চার দাম কত
হবে তা নির্ভর করে। আবার মুরগির বাচ্চাটি ক্যারি করে নিয়ে যাওয়া দূরত্বের উপর
ভিত্তি করেও বাচ্চা দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে, সেটা অবশ্যই কোম্পানি ভিন্নতা
ভেদে হয়ে থাকে। নিচে ২০২৫ সালের কিছু কোম্পানির প্রতি পিস বাচ্চার বর্তমান দাম
তুলে ধরা হলোঃ
| কোম্পানি |
মূল্য |
|---|---|
| প্যারাগন | ৬০ - ৬২ টাকা |
| নারিশ | ৬০ - ৬১ টাকা |
| প্রভিটা | ৬০ - ৬১ টাকা |
| কোয়ালিটি | ৬০ - ৬৩ টাকা |
| CPIR | ৬০ - ৬২ টাকা |
| A1 | ৬০ - ৬১ টাকা |
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ এই দাম সময় ও স্থান অনুযায়ী পরিবর্তনশীল হতে পারে
সঠিক দাম পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কোম্পানির প্রতিনিধির সঙ্গে যোগাযোগ সাপেক্ষ।
ফার্মের মুরগির মাংসের ক্ষতিকর দিক
ফার্মের মুরগির মাংস কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, আবার কিছু ক্ষেত্রে
ক্ষতিকর হতে পারে। এটা নির্ভর করে ফার্মে যে খাদ্য মুরগীকে খাওয়ানো হয় তার
কোয়ালিটির উপর ভিত্তি করে। যদি প্রাকৃতিক খাবারের পরিবর্তে সস্তা ফিড খাওয়ানো হয়
সেটাও ক্ষতির কারণ।
আরো পড়ুনঃ
সোনালী হাইব্রিড মুরগির খাবার তালিকা
বাণিজ্যিকভাবে খামারে চাষ করা ব্রয়লার মুরগি দেশের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে।
কিন্তু পাশাপাশি মানবদেহের প্রায় ৫টি বড় ধরনের ক্ষতিকর উপাদানের প্রভাব বাড়ায়,
এতে করে আমরা শারীরিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছি। বাংলাদেশ পরমানু শক্তি কমিশনের
কারিগরি সহায়তায় করা গবেশনায় দেখা গেছে ফার্মের মুরগির মাংশে ৫টি ক্ষতিকর উপাদান
অতিরুক্ত মাত্রায়। চলুন ফার্মের মুরগির মাংসের ক্ষতিকর উপাদান আলোচনা করা যাক।
- আর্সেনিক
- নিকেল
- ক্রোমিয়ম
- পারদ
- শিশা
আর্সেনিক
আর্সেনিক মুরগির শরীরে প্রবেশ করে এবং খাদ্যশৃঙ্খল এর মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ
করে। মুরগি দ্রুত মোটাতাজা করণে আর্সেনিক মুরগির শরীরে ঢোকানো হয়, এই মুরগির
মাংশ মানুষ খেলে মানুষের শরীরে আর্সেনিক গ্রহণে ঝুঁকি বাড়ায়।
দীর্ঘ সময় মানুষ এই আর্সেনিকযুক্ত মুরগি খেলে শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা
দেয়, যেমন চেহারায় কালচে ভাব আসে, লালচে ভাবও আসতে পারে, ফোলা ভাব দেখা দেয়,
ত্বকের মধ্যে আঁচিলের মত দেখা যেতে পারে।
নিকেল
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগির মাংসে যে পরিমাণ
নিকেল থাকে তা স্বাভাবিক মানুষের সহনিয় মাত্রার চেয়ে ১২৮ গুণ বেশি ব্রয়লার
মুরগির কিডনিতে যে পরিমাণ নিকেল পাওয়া গেছে (২.৩ অর্থাৎ ০.৬৮মিঃগ্রাঃ)। লিভারের
নমুনায় পাওয়া গেছে (০.০২৪ থেকে ০.০৯৩) পিপিএম।
স্বাভাবিকভাবে মুরগির শরীরে নিকেল এর পরিমাণ কম থাকে। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন
বর্জ্য পদার্থ দিয়ে তৈরি ফিড খাওয়ানোর কারণে, মুরগির শরীরে নিকেলের পরিমাণ
ক্রমাগতই বাড়ছে। সেই নিকেল মানবদেহে প্রবেশ করে শরীরের উপরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া
দেখা দিচ্ছে।
ক্রোমিয়ম
ফার্মের মুরগিকে যে খাবার দেওয়া হয় তা চামড়া শিল্পের বর্জ, এসব বর্জে আছে
বিষাক্ত ক্রোমিয়ম। আমাদের মানবদেহের জন্য যা অনেক ক্ষতিকর, এই ক্রোমিয়ম মুরগি
রান্না করলেও নষ্ট হয় না। ক্রোমিয়ম এর তাপ শোষণ ক্ষমতা ২৯০০ ডিগ্রি
সেন্টিগ্রেট, যেখানে মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেটে আমরা রান্না করে
থাকি।
এই ক্রোমিয়ম আমাদের দেহে প্রবেশ করে কোষ নষ্ট করে ফেলে। এমনকি কিডনি, লিভার
ড্যামেজ করে ফেলে। প্রতি ৫০০ গ্রাম মুরগির মাংসে ১৭৫ মাইক্রগ্রাম ক্রোমিয়ম থাকে,
হাড়ে ক্রোমিয়ম আছে ১০০০ মাইক্রগ্রাম, কলিজায় আছে ৩০৬ মাইক্রগ্রাম, মগজে আছে ২২৬০
মাইক্রগ্রাম রক্তে আছে ৩৯৫ মাইক্রগ্রাম। (WHO) এর মতে একজন মানুষ ৩৫ মাইক্রো
গ্রাম গ্রহণ করতে পারে সেখানে কোন ব্যক্তি যদি ৫০০ গ্রাম মাংশ খায় তাহলে তার দেহে
প্রবেশ করে ১৭৫ মাইক্রোগ্রাম যা তুলোনায় অনেক বেশি।
পারদ
পারদ একটি ভারী সাদা রূপালী ধাতু, যা দীর্ঘদিন ধরে ফার্মের ব্রয়লার মুরগী মানব
শরীরে কিছু ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পারদের প্রভাবে ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর
দিক যেমন স্নায়ুতন্ত্র, ফুসফুস এবং অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে থাকে।
এটি যদি আপনি স্বাভাবিকভাবে খান তাহলে আপনার মুখ গহ্বর, পাকস্থলী প্রচন্ডভাবে
জ্বালাপোড়া করবে, রক্ত আমাশয় ও আলসার হবে।
যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয় তাহলে আপনি
একদিনের মধ্যে মারা যেতে পারেন। পারদ বিষাক্ত ও তাপ সেনসিটিভ। পারদ তাপ থেকে দূরে
সরে যায়। পারদ তরল হলেও এটি ধাতব তাই মাংস পেশী বা কোষে ছিদ্র করে ক্ষয় বা নষ্ট
করে দেবে। এতে পাকস্থলী সহ, যকৃত, সারা শরীর বিকল হতে পারে। শরীর ফুলে মৃত্যুর
ঝুঁকি আছে।
শিশা
শিশা একটি ভারী বিষাক্ত ধাতু, যা প্রকৃতিতে পাওয়া যায়। ব্রয়লার মুরগিকে ফার্মে
নন ব্র্যান্ডেড ফিড খাওয়ানোর সময় টেনারি বর্জ্য ও শিল্পের বর্জ্য থেকে
প্রকৃতিতে মিশে যায়। সিসা মানব শরীরে প্রবেশ করলে কিডনি ড্যামেজ সহ মারাত্মক বড়
ধরনের রোগের আক্রান্ত করে ফেলে। এটি একটি ব্রয়লার মুরগীর ডিমের ক্ষতিকর দিক বটে।
এটি মানব শরীরের হরমোন জনিত সমস্যা, স্নায়ুতে সমস্যা। এরকম আরো বড় বড় রোগের
কারণ হয়ে দাঁড়ায় অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পায়। এমনকি অতিরিক্ত মুরগির মাংস
খেলে ওজন বেড়ে গিয়ে শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে ফেলে।
কোন মুরগির ডিমে পুষ্টি বেশি
ডিমের পুষ্টি নির্ভর করে মুরগির খাদ্যভাস এর ওপর। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা যে সকল
মুরগির ডিম দেয় সে সকল ডিম গুলোতে বেশি পুষ্টি থাকে। ফার্মের মুরগির ডিমের
তুলনায় দেশি মুরগির ডিমে (A E) ওমেগা - ৩ ফ্যাটি এসিড থাকে।
আরো পড়ুনঃ সোনালী হাইব্রিড মুরগির খাবার তালিকা
প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা মুরগির ডিমের ক্যালরির পরিমাণ ফার্মের মুরগির
তুলনায় বেশি। বিশেষ করে যারা হৃদরোগে আক্রান্ত রোগী, উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের জন্য
দেশি মুরগির ডিম বেশি উপকার। ফার্মের মুরগিতে প্রোটিন থাকলেও, এতে অতিরিক্ত
অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার ঝুঁকি বাড়ায়।
ডিম পাড়া মুরগির খাবার তালিকা
ডিম দেওয়া মুরগির খাদ্য তালিকায় শস্যদানা শাকসবজি যেমনঃ গম, ভুট্টা, ধানের
গোড়া, কলমি শাক, পুঁইশাক, বাঁধাকপি, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার মুরগিকে দিলে ডিমের
উৎপাদন বাড়ে। চলুন একটি মুরগির আদর্শ খাদ্য তালিকা প্রস্তুত করা যাক।
- গম এর গুড়া
- ভুট্রা এর গুড়া
- ধান এর কুঁড়ো
- কলমি শাক
- সয়াবিন
- পুঁইশাক
- বাঁধাকপি
গম এর গুড়া
প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে গমের গোড়া মুরগির জন্য একটি সুষম খাবার, এটি সহজলভ্য
এবং গ্রাম এলাকায় প্রায় প্রতিটা বাড়িতে গমের ভুষি বা গম পাওয়া যায়। গম
মুরগির শরীরে শক্তি যোগায়, ক্যালসিয়াম বৃদ্ধি করতে সহযোগিতা করে।
ভুট্রা এর গুড়া
ভুট্টা সহজে হজম হয়, ভুট্টা খাওয়ালে মুরগির ডিমের ও মাংসের স্বাদ বৃদ্ধি পায়।
বিশেষ করে ডিম দেওয়া মুরগির ক্ষেত্রে যখন মুরগি ডিম দেয় তখন নিয়মিতদের মধ্যে
ভুট্টার ভুসি খাবার হিসেবে পরিমিত পরিমানে রাখা উচিত।
ধান এর কুঁড়ো
ধানের কুঁড়ো মুরগির খাদ্য তালিকার প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচনায় রাখা হয়। এটি
অনেক সহজলভ্য ও ও পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরাও চেস্টা করবো আমাদের
ডিম দেওয়া মুরগীকে ধানের কুঁড়ো খাওয়াতে।
কলমি শাক
বাড়ির সাপ্তাহিক খাবার তালিকায় আমরা যেমন কলমি শাক রাখলে আমাদের পুস্টির ঘাটতি
পূরন হয়, তেমনি ডিম দেওয়া মুরগীর খাদ্য তালিকায় কলমি শাক রাখা উচিত। মুরগি যে
সময় ডিম দেয় সে সময় মুরগির শরীরে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয় কলমি শাক মুরগির
শরীরে পুষ্টির ঘাটতি পূরণে সহায়তা করে।
সয়াবিন
সয়াবিন প্রোটিনের প্রধান উৎস, মুরগি যখন ডিম দেয় সে সময় সোয়াবিন খাওয়ালে
মুরগির শরীরে যেমন প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়, ঠিক তেমনি যে ডিম দেয় সেই দিমের
স্বাদ ও পুষ্টি বেশি থাকে। তাই আমরা চেস্টা করবো ডিম দেওয়া মূরগীর খাদ্য তালিকায়
সয়াবিন রাখতে।
পুঁইশাক
গ্রাম্য বাড়ি গুলোতে পুঁইশাক একটি কমন সবজি। ডিম দেওয়া অবস্থায় পুঁইশাক খাওয়ালে
মুরগীর ক্যালসিয়াম জাতীয় অভাব দূর করে। ডিম দেওয়া অবস্থায় নিত্য দিনের খাবারে
তালিকায় পুঁইশাক রাখবো।
বাঁধাকপি
বাঁধাকপি হলো একটি শীতকালিন সবজি। যদিও বারো মাস এ সবজি পাওয়া যায় না, শীতকালে
ডিম দেওয়া মুরগীকে বাঁধাকপি খাওয়ালে মুরগীর প্রোটিনের অভাব পূরন হবে। আমরা চাইলে
সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে অথবা বাজার থেকে এই বাঁধাকপি সংগ্রহ করতে পারি।
ব্রয়লার মুরগির ডিমে কি এলার্জি আছে
ব্রয়লার মুরগির ডিমে এলার্জি থাকতে পারে যেকোনো মুরগির ডিমের মতোই। এটি একটি
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক। ডিমের সাদা অংশে প্রোটিনের কারণে অ্যালার্জির
মূল কারণ। মুরগির পালক থেকে পেশিগত হাঁপানি বা অ্যালার্জিক রাইনাইটিস হতে পারে।
আরো পড়ুনঃ সোনালী হাইব্রিড মুরগির খাবার তালিকা
ব্রয়লার বা দেশি মুরগি যায় হোক না কেন, ডিমের অ্যালার্জি হওয়ার কারণ একই। যদি
আপনার ব্রয়লার মুরগি বা ডিম থেকে অ্যালার্জির সন্দেহ হয়, তাহলে চিকিৎসকের কাছে
পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ব্রয়লার মুরগির ডিম কোথায় পাবেন
আপনি খুঁজে পাচ্ছেন সাধারণত হ্যাচারি, পোল্ট্রি খামার, এবং বাজার থেকে কেনা যায়।
এই ডিমগুলো মূলত উৎপাদনকারী মুরগি থেকে আসে, যারা ডিম পাড়তে পারে। ব্রয়লার
জাতীয় মুরগির ডিম পাবেন হ্যাচারি। হ্যাচারিগুলো থেকে নিষিক্ত ডিম পাওয়া যায়,
যা ব্রয়লার মুরগি পালনের জন্য ব্যবহার করা হয়।
- পোল্ট্রি খামার
- বাজার
- অনলাইন প্ল্যাটফর্ম
আপনি চাইলে সরাসরি খামার থেকে ডিম কিনতে পারেন। কিছু খামারকে রোগের ঝুঁকি
মোকাবিলায় জাতীয় পোল্ট্রি উন্নয়ন পরিকল্পনা (NPIP) প্রত্যয়িত হতে হয়। খুচরা বা
পাইকারি বাজারে ব্রয়লার বা অন্যান্য পোল্ট্রি মুরগির ডিম বিক্রি করা হয়। কিছু
ফেসবুক গ্রুপ বা অনলাইন মার্কেটপ্লেসে ডিম পাওয়া যায়।
মুরগির বাচ্চা ফুটানোর মেশিনের দাম কত
মুরগির বাচ্চা ফোটানোর মেশিনের দাম নির্ভর করে মেশিনের আকার, ক্ষমতার উপর। চলুন
মুরগির বাচ্চা ফুটানোর মেশিনের দাম কত তার প্রকারভেদ অনুযায়ী আলোচনা করা যাক।
বিডি স্টলের ইনকিউবেটর ক্রেতাদের আগ্রহের ভিত্তিতে এই সেরা ইনকিউবেটর এর তালিকা
লিপিবদ্ধ হয়েছে। ২০২৫ সালের বাংলাদেশে বর্তমান সেরা ইনকিউবেটর এর মূল্য তালিকা
নিচে দেওয়া হলোঃ
| মডেল |
মূল্য |
|---|---|
| Automatic 300 Egg Hatching Incubator | ১৩০০০টাকা |
| 364 Egg Full Auto AC / DC Incubator | ১২০০০ টাকা |
| Automatic Computer Control Incubator | ৩৫০০ টাকা |
| 110 Egg Semi-Auto AC / DC Incubator | ৩০০০ টাকা |
| 80 to 100 Capacity AC + DC Egg Incubator Machine | ২৫৯৯ টাকা |
| 110 Egg Automatic AC / DC Incubator | ২৬০০ টাকা |
| 110 Egg Capacity AC incubator | ২০০০ টাকা |
| 88 Egg Capacity AC incubator | ১৮৫০ টাকা |
| 88 Egg Capacity AC Incubator | ১৭০০ টাকা |
লেখকের শেষ কথাঃ
একদিকে যেমন চাহিদা পূরণ করা যাবে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব । অন্যদিকে
ব্রয়লার মুরগির ডিমের ক্ষতিকর দিক আমরা বিবেচনা করে যা বুঝলাম, তাতে করে
ব্রয়লার মুরগির খাদ্য অভ্যাস পরিবর্তন করলে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ালে ব্রয়লার
মুরগিও আমাদের জন্য উপকারী হতে পারে।

Present_Tech_BD এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url